নাইজেরিয়ায় একসঙ্গে ৪০০ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যে প্রায় ৪০০ জন লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে বলে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি এর কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

দেশটির হাউসা সংবাদপত্র ‘রারিয়ার’ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে নাইজার রাজ্যের ওরানি এলাকায় চার শতাধিক লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে।এ উপলক্ষ্যে নাইজেরিয়ার মুসলিম নারীদের উদ্যোগে একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তারা ধর্মান্তরিতদের সাহায্যের জন্য মালামার সুলতান সুফিয়ান আহমদের নেতৃত্বে ত্রাণ সহায়তা দিতেও সহযোগিতা করছে বলে খবরে বলা হয়। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।-নাজি ডটকম!

আমাদের প্রিয় নবীজী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর একজন কালো সাহাবি ছিলো। সকল সাহাবির মধ্যে সেই বেশি কালো। কিন্তু নবীজী (সাঃ) এর ভালোবাসায় সর্বদা জীবন দিতে প্রস্তুত। সেও সাহসী সাহাবির মধ্যে একজন। প্রিয় নবীজি (সাঃ) তাকে অনেক ভালো বাসতেন তাকে।

একদিন নবীজী (সাঃ) বললো, সাহাবিকে তুমি সারাক্ষণ আমার সাথেই থাক। তোমার কাছে আমি কিছু জানতে চাই। নবীজী (সাঃ)এর কাছে মাথা নিছু করে কালো সাহাবি বলল, হুজুর আমার জান হাজির আপনি শুধু বলুন কি জানতে চান? নবীজী বলল তোমার বিয়ের সময় হয়েছে, তুমি কি তার জন্য প্রস্তুত?

কালো সাহাবি মাথা নেরে বলল, হুজুর আমি যে এত কালো আমার কাছে কে মেয়ে বিয়ে দেবে? নবীজী (সাঃ) বলল তুমি বিয়ে করবে কিনা বল তোমার জন্য আমি মেয়ে দেখবো। কথাটি শুনে কালো সাহাবি খুশিতে কেঁদে ফেলল। হুজুর আপনি আমার জন্য মেয়ে দেখবেন, এর চেয়ে আমার কাছে বড় আর কি হতে পারে? আমি রাজি।

নবীজী (সাঃ) একটি পত্র লিখে কালো সাহাবির হাতে দিয়ে বললেন, এই পত্রটি মদিনার বড় বাড়িতে গিয়ে মালিকের হাতে দিয়ে উত্তর জেনে তার পরে আসবে। কালো সাহাবি জানে না এর ভিতরে কি লেখা আছে। নবীজী (সাঃ) এর কথা অনুযায়ী পত্র খানি নিয়ে মদিনার বড় বাড়ির মালিকের হাতে দিল। নবীজী (সাঃ) এর কথা শুনে তারাতারি পত্রটি খুলে দেখলো এর মধ্যে লেখা আছে?

আসছালামুয়ালাইকুম আমি হযরত মোহাম্মদ সাঃ আপনার কাছে আমার কালো সাহাবির জন্য আপনার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। আশা করি আমার প্রস্তাব আপনি গ্রহণ করবেন এবং আমার কালো সাহাবির সাথে আপনার সুন্দরী মেয়ের বিবাহ দিবেন। ইতি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)।

বড় বাড়ির মালিক নবীজী (সাঃ) এর কথা শুনে কেঁদে ফেললো। আমার এক মাত্র মেয়ে, মদিনায় যাকে হুরে মদিনা বলে চিনে (কিতাবে আছে মেয়েটি এত সুন্দর যার কারনে সবাই তাকে হুরে মদিনা বলে ডাকতো)।

এখন আমি কি করি নবীজী (সাঃ) বলেছে আনন্দের কথা কিন্তু ছেলেটি যে অনেক কালো। বিভিন্ন চিন্তায় মালিক চিন্তিত। কালো সাহাবি বলল নবীজী (সাঃ) কি লিখেছেন, আমাকে বলেছেন উত্তর নিয়ে যেতে। মালিক বলল নবীজী (সাঃ) বলেছেন তোমার সাথে আমার মেয়ে হুরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বাবা তুমি এখন যাও।

নবীজী (সাঃ)কে বলিও আমি আমার মেয়ের সাথে পরামর্শ করে খবর পাঠিয়ে দেব। নবীজী (সাঃ) এর কালো সাহাবি মন খারাপ করে ফিরে যাচ্ছে। এমন সময় ঐ মেয়েটি দৌড়ে এসে বলল বাবা দেখলাম একটি লোক এলে হাসিমুখে কিন্তু যাওয়ার সময় মন খারাপ করে যাচ্ছে কারন কি?

বাবা মেয়ের কাছে সব খুলে বললো। কথাটা শুনে মেয়েটি খুশিতে আত্মা হারা হয়ে বলল বাবা কি বলেছেন, নবীজী (সাঃ) পত্র লিখেছেন আমার বিয়ার প্রস্তাব এর জন্য আর আপনি ফিরিয়ে দিলেন বাবা ঐ সাহাবি নবীজী (সাঃ)এর কাছে পৌছার আগেই তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। না হয় যে আল্লাহর কাছে আমরা অপরাধী হয়ে যাবো।

বাবা নবীজী (সাঃ)পত্র লিখেছেন, এতে মনে হয় মদিনার সব চেয়ে মূল্যবান ও সূ ভাগ্যবান মেয়ে আমি। মেয়ের মুখে কথাটি শুনে বাবা আলহাদুলিল্লা বলে ঐ সাহাবিকে ফিরিয়ে নিয়ে এল। বলল তুমি যে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে, দেন মহর হিসেবে কি দেবে?

কালো সাহাবি বল্ল আমার কাছে নবীজী (সাঃ) এর ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই নেই। ঐ মেয়েটি বল্ল বাবা আপনারতো অনেক টাকা আজ নবীজী (সাঃ) এর ভালোবাসায় কিছু টাকা দেনমহরের জন্য ওকে দিয়ে দিন। মালিক আরো বল্ল বিয়ে যে করবে কিছু কেনা কাটা করেছ ? আমার মেয়েকে সাজানোর জন্য?

কালো সাহাবির উত্তর আমার কাছে কোন টাকা নেই। ঐ মেয়েটি বাবাকে বলল, নবীজী (সাঃ) এর ভালোবাসার খাতিরে বিয়ের কেনা কাটার জন্য ওনাকে কিছু টাকা দিয়ে দিন।

অবশেষে মদিনার বড় মালিক নবীজী (সাঃ)এর ভালোবাসার খাতিরে কালো সাহাবির হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললো যাও বিয়ের বাজার করে নিয়ে আসো। আজকের ভিতরে আমি নবীজী (সাঃ) এর কথায় আমার সুন্দরী মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দেব।

নবীজী (সাঃ) এর কালো সাহাবি মনের আনন্দে বিয়ের বাজার করতে রওনা হলো। বাজারে গিয়ে কিছু কেনা কাটাও করে। হঠাৎ দেখে মানুষের দৌড়া দৌড়ি। কালো সাহাবি বলল কি হলো সবাই এমন করে দৌড়াচ্ছে কেন? দোকানের মালিক বলল তুমি কি কিনবে পরে এসো। আমাদের মদিনার সম্পদ, মুসলিম বিশ্বের রহমত, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে শত্রুরা আক্রমণ করেছে। এই বলে দোকান বন্ধ করে চলে গেল।

তখন কালো সাহাবি অন্য দোকানে গিয়ে বিয়ের বাজারের টাকা দিয়ে একটি তরবারি কিনলো। হঠাৎ আবার মনে হলো মদিনার সুন্দরী মেয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। নিজের মনকে বুঝালো যেই নবীজী (সাঃ) না হলে আমি হতাম না। দুনিয়া ও হতো না সেই নবীর চেয়ে সুন্দরী মেয়ে আমার কাছে বড় নয়। এই বলে নবীজী (সাঃ) এর কালো সাহাবি দৌড়ে যুদ্ধের ময়দানে চলে গেল।

কিতাবে আছে ঐ যুদ্ধে নবীজী (সাঃ) এর ৭০ জন সাহাবি শহীদ হয়েছে। তার মধ্যে কালো সাহাবি একজন। নবীজী (সাঃ) অশ্রুসিক্ত হয়ে বলল, আমার আদরের সাহাবিদেরকে রক্ত মাখা অবস্হায় দাফন করে দাও। কিয়ামতের ময়দানে আমি আল্লাহর কাছে তাদের রক্ত মাখা শরীর দেখিয়ে, কোটি কোটি গুনাগার উম্মেতের নাবাজাতের দাবি করবো।

হঠাৎ নবীজী (সাঃ) এর চোখ পরে কালো সাহাবির দিকে। জিহবা কামুর দিয়ে রক্ত মাখা হয়ে পরে আছে। নবীজী (সাঃ) এর চিৎকার দিয়ে বলল, এই আমার কালো সাহাবির লাশ। তার আজকে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।কয়েকজন সাহাবি বলল হুজুর আপনার কালো সাহাবি বিয়ের বাজার করতে গিয়ে যখন শুনতে পেল, শত্রুরা আপনাকে আক্রমণ করেছে তখন সে যুদ্ধের বাজার করে যুদ্ধের ময়দানে এসেছিল।

নবীজী (সাঃ) কাঁন্না অবস্হায় কালো সাহাবির কবরের ভিতরে তাকালোযুদ্ধের কিছুক্ষণ পর হাসিমুখে বলল, তোমরা আমার কালো সাহাবির দাফন করে দাও। সাহাবিরা বলল হুজুর বেয়াদবি মাপ করবেন, আপনি কাঁন্না অবস্হা কালো সাহাবির দিকে তাকালেন। আবার হাসিমুখে দাফন করতে বললেন। কারনটি বলবেন হুজুর?

তাহলে শুন আমার কালো সাহাবির বিয়ের বাজার দিয়ে যুদ্ধের বাজার করেছে। আমার ভালোবাসায় ইসলাম এর পথে শহীদ হয়েছে। আমি তাকিয়ে দেখি ঐ হুরে মদিনা বেহেস্তি হুর হয়ে তার সেবা করছে। সুবাহানআল্লাহ। সূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত।